March 4, 2021, 12:47 am
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শেষ মুহূর্তে এসে ব্রেক্সিটের মেয়াদ বাড়ালো ইউরোপীয় ইউনিয়ন। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ৩১ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) যুক্তরাজ্যের ইউরোপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল। সেই সময়সীমার ২ দিন আগে সোমবার ইইউ নেতারা জানালেন, ৩ মাস বাড়িয়ে ব্রেক্সিটের সময়সীমা ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।
দীর্ঘ টানাপড়েন আর অনিশ্চয়তার পর সম্প্রতি ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে ইইউ-জনসন সমঝোতা হলেও পার্লামেন্টে তা অনুমোদন পায়নি। পার্লামেন্ট প্রস্তাবিত খসড়া নিয়ে আলোচনার পক্ষে অবস্থান নিলেও জনসনের পক্ষ থেকে আলোচনা তিন দিনের মধ্যে শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার যে প্রস্তাব তোলা হয়, তা ৩২২-২০৮ ভোটে নাকচ হয়ে যায়। ফলে জনসনকে তাকিয়ে থাকতে হয় ইইউর পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।
সোমবার ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধান ডোনাল্ড টাস্ক ব্রেক্সিট ৩ মাস পিছিয়ে দেওয়ার সম্মতি জানিয়ে বলেন, এই সিদ্ধান্তের মানে হচ্ছে যুক্তরাজ্য চাইলে পার্লামেন্টের অনুমোদনক্রমে এই সময়সীমার মধ্যে ইউরোপ থেকে বেরিয়ে যেতে পারে।
বিবিসি আগেই আভাস দিয়েছিল, ইইউ সম্ভবত আগামী জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত ব্রেক্সিট বিলম্বিত করতে সম্মত হবে।
এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বারবার বলে আসছিলেন চুক্তি হোক বা না হোক আগামী ৩১ অক্টোবরই ব্রেক্সিট অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু ‘বেন অ্যক্ট;’ নামে এক আইনের কারণে ইইউয়ের প্রস্তাব মানতে বাধ্য হন জনসন। ব্রেক্সিট চুক্তিতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন করতে হয় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে।
ব্রেক্সিট ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়ে চলতি বছরের মে মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন থেরেসা মে। তিনি সরে দাঁড়ানোর পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী বরিস জনসন। আগামী ৩১ অক্টোবর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন তিনি। প্রয়োজনে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট বাস্তবায়নেরও ইঙ্গিত দেন জনসন। পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে ব্রেক্সিট কার্যকরের সময় বাড়াতে আবেদন করে যুক্তরাজ্য।
Leave a Reply