বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০৮:০৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনামঃ
বাংলাদেশ থেকে নিরাপত্তা কর্মী নিতে চায় মালয়েশিয়া ডিজিটাল স্টার্টআপে আড়াই কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা রবির আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছেঃ টমি মিয়া কফি জায়ান্ট ক্রিমসন কাপ এখন মিরপুরে বাচসাস’র নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক ও বাচসাস সম্মাননা অনুষ্ঠান কাল শনিবার বাচসাস’র নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক ও বাচসাস সম্মাননা অনুষ্ঠান কাল শনিবার বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের অবিশ্বাস্য জয় ক্যান্সার আক্রান্ত নৃত্য পরিচালক বাবুলের পাশে সহযোগিতায় দাঁড়ালেন নরসিংদির কাদির মোল্লা সিত্রাং: ৩ বিমানবন্দরে উড্ডয়ন-অবতরণ বন্ধ কৃষক শ্রমিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা

আ.লীগ নেতা জামান হত্যায় ৩ জ‌নের যাবজ্জীবন

রিপোটার:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১ আগস্ট, ২০২২
  • ৩৯৬ Time View

খুলনায় বহুল আলোচিত মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক খান ইবনে জামান হত্যা মামলায় ৩ জ‌নের যাবজ্জীবন সাজার রায় দিয়েছেন আদালত। একইসা‌থে তা‌দের প্রত্যেক‌কে ৩০ হাজার জরিমানা, অনাদা‌য়ে আরও ৬ মা‌সের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হ‌য়ে‌ছে।

হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পর খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন আজ সোমবার (১ আগস্ট) এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হ‌লেন, শেখ তৈ‌য়েবুর রহমান ওর‌ফে ইরান, অপূর্ব কুমার বিশ্বাস ও মোঃ সোহাগ শেখ। অপর‌দি‌কে এ মামলার অন‌্য আসা‌মি আশু‌তোষ ব‌্যাপারির বিরু‌দ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ ক‌রতে ব‌্যর্থ হ‌ওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

রা‌য়ের বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট কে এম ইকবাল হোসেন।

আইনজীবীরা জানান, ২০০৮ সালের ১৩ অক্টোবর রাতে নগরীর খালিশপুরে নিজ বাড়িতে শ্বাসরোধ ও মাথায় আঘাত করে আওয়ামী লীগ নেতা খান ইবনে জামানকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তার দুই পা দড়ি দিয়ে এবং হাত একটি লুঙ্গি দিয়ে বাধা ছিল। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. শাহাব উদ্দিন খান বাদি হয়ে ১৪ অক্টোবর অজ্ঞাত পরিচয় দুর্বৃত্তদের আসামি করে খালিশপুর থানায় মামলা করেন।

২০০৮ সালের ২১ অক্টোবর র‌্যাব সদস্যরা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ তৈয়েবুর রহমান ওরফে ইরান, অপূর্ব কুমার বিশ্বাস ওরফে অপু ও মো. সোহাগ নামে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করে। তারা জামানকে হত্যা করে বলে ওই দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

২০০৯ সালের ১৪ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির ইন্সপেক্টর নিখিল চন্দ্র মন্ডল ওই ৩ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে বলা হয়, খান ইবনে জামান চিরকুমার এবং সমকামি ছিলেন। তিনি জোরপূর্বক সমকামিতা করতে গেলে আসামিরা তাকে হত্যা করে।

২০০৯ সালের ৩ জুন মামলার বাদি মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। ওই বছরের ২৭ আগস্ট মুখ্য মহানগর হাকিম মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।

২০১০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মামলার অধিকতর তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এস আই আবদুল গফুর ৪ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা ছিলেন শেখ তৈয়েবুর রহমান ওরফে ইরান, অপূর্ব কুমার বিশ্বাস ওরফে অপু, মো. সোহাগ ও আশুতোষ ব্যাপারী।

Please Share This Post in Your Social Media

এই জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2022 deshnews24.com
Theme Customized By Max Speed Ltd.