January 16, 2021, 7:49 am
খুলনা প্রতিনিধি: উপকূলের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে সুপার সাইক্লোন আম্পান। আবহাওয়া অধিদপ্তর এরই মধ্যে মোংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১০ থেকে ১৫ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে এখন বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে খুলনাঞ্চলজুড়ে। বৃষ্টির সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া। ক্ষণে ক্ষণে ভারী বৃষ্টিও হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়।
সময় যতো যাচ্ছে ততোই বাতাসের তীব্রতা বাড়ছে। নদীতে বাড়ছে জোয়ারের পানি এবং উত্তাল অবস্থা বিরাজ করছে। মোংলা বন্দরসহ আশপাশের নদীর নৌ-যানগুলো নদীর পাড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাত এবং দমকা হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
কয়রা উপজেলার কয়রা সদর, উত্তর বেদকাশী এবং দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের কয়েক জায়গা দিয়ে বেড়িবাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করেছে লোকালয়ে। স্থানীয় মানুষ বেড়িবাঁধের ওপর মাটি দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করেছে। তবে আজকের আমাবশ্যার জোয়ারে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন।ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে খুলনার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। ছবি: বাংলানিউজসুন্দরবন সংলগ্ন খুলনা জেলার কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলাসহ আশপাশের অঞ্চলে বয়ে চলেছে দমকা হাওয়া, হচ্ছে বৃষ্টিপাত। স্থানীয় নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট উচ্চতায় বয়ে চলেছে।
এদিকে দাকোপ ও কয়রা উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার জনসাধারণ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।
খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলার জন্য খুলনায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩৪৯টি সাইক্লোন শেল্টার। এছাড়াও জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় যেসব পাকা ভবন ও স্কুল কলেজ ভবন রয়েছে সেগুলোকেও শেল্টার হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিতে পারবেন প্রায় ৫ লাখ মানুষ। এছাড়া খুলনা সিভিল সার্জন অফিস ৯টি উপজেলায় ১১৬টি মেডিক্যাল টিম গঠন করেছে। লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং চলছে। মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে শুরু করেছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সুপার সাইক্লোন আম্পান বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ সুন্দরবনের কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
Leave a Reply